অনেক ক্ষণ ধরে ভাবলাম ব্লগ টার নাম কি দেব। তারপর মনে হল আতশ কাঁচ দিলে কেমন হয়? সেই যে কবে স্কুলে থাকতে পড়েছিলাম আতশ কাঁচ
– ছোট্ট জিনিশ কে বড় করে দেখায় আর সেই যে বাবা একদিন দুপুরে টেবিলের ড্রয়ার থেকে
বার করে দেখিয়েছিলেন। চোখের সামনে ম্যাজিকের মত হাজির হয়েছিল এক অন্য পৃথিবী। অবাক
আনন্দে দিশাহারা হয়ে গিয়েছিলাম। তারপর শুরু হয়েছিল এক মজার খেলা। বাড়ী ময় ছোটাছুটি
করে হাতের কাছে যা পাই তার উপরেই চেপে ধরি অত্যাশ্চর্য আতশ কাঁচ। বই এর পাতার
ক্ষুদে ক্ষুদে অক্ষর, এক টুকরো সুতো, দেয়ালের গায়ে একটা বিবর্ণ ছোপ, চৌকাঠ দিয়ে
হেঁটে যাওয়া গুবরে পোকা – কেমন করে জানি জিনিশ গুলো সব বড় হয়ে যায় আর অন্য কোন এক
অচেনা জগতের ইশারা করতে থাকে। যাকে এমনি চোখে দেখা যায়না, সাধারণ ভাবে যার হদিশ
মেলেনা, হাতে এসেও আবার আঙ্গুলের দুফাঁক দিয়ে গলে যায় - অথচ আছে, খুব বেশীরকম
ভাবেই লুকিয়ে আছে আমাদের এই আটপৌরে জীবন টার মধ্যেই, আতশ কাঁচের ছাইচাপা আগুন যেন সেই
ধরাছোঁয়ার বাইরের পৃথিবী টা কে বড্ড কাছাকাছি এনে দেয়। হঠাৎ করে অনুভব করি এ জগতের পরেও আরেকটা জগৎ আছে, এ জীবনের পরেও আরেকটা জীবন – সেই অজানি-দেশের-নাজানি-কি কে রূপকথার
গল্পের বাইরেও খুঁজে পাওয়া যায় - শুধু খুঁজতে জানা চাই।
Adi darun to, chomotkar lekha, jaak sesh porjontyo Adi likhte shuru korlo, ta prerona ta ki bibaho sutre paoa gelo ? Opekkhay thaklam, ar atosh kanch e chokh lagie rakhlam.
ReplyDeletebolchho dd? :-) bibaho sutro thik na, tobe ichha chhilo onekdin dhore. tumi to janoi.
ReplyDeleteHuun jantam kintu seta jokhon bibaher pore elo tokhon sutro ta setai thakna. Ei je moner ichchha ta oboseshe kaaj e porinoto holo tar credit ta to kauke ditei hoi :) :)
ReplyDelete